,

কম ঘুমালে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে

সময় ডেস্ক : সুস্থ জীবন যাপনের মূলে রয়েছে সঠিক খাদ্যভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম আর নিয়মিত ব্যায়াম। সুস্থ থাকার জন্য যেমন সঠিক খাদ্যাভ্যাসের প্রয়োজন, তেমনি ভালো ও পর্যাপ্ত ঘুমও খুব জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুম বলতে বোঝায় প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুম। এ অভ্যাসের ব্যত্যয় ঘটলে জীবনযাত্রা ও স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে।
ঘুমের অভাব বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণ হিসেবে ধরা হয়। এজন্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও মানুষকে পর্যাপ্ত ঘুমের পরামর্শ দেন। ঘুম কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা প্রায় প্রত্যেকেরই জানা। তবে সম্প্রতি একটি নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে অবাক হওয়ার মত এক তথ্য।
বলা হচ্ছে- ঘুমের কারণে প্রভাব পড়তে পারে হৃদযন্ত্রে। ভালো ঘুম না হলে হৃদপিণ্ডের ক্ষতি হতে পারে। সার্কুলেশন ট্রাস্টেড সোর্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, নিয়মিত রাতে সাত ঘণ্টারও কম ঘুমালে এবং খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার কারণে বেড়ে যেতে পারে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এবং মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনের মতো ঝুঁকি। পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে যে ছেলেদের তুলনায় নারীরা কম ঘুমান। তাই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতাও নারীদের অনেক বেশি। হৃদরোগ বা সিভিডি নারীর মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ। নতুন এই গবেষণায় জানা যায় যে ঘুমের অভাব ও হৃদরোগ একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমালে কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে। গবেষকরা ৪২ থেকে ৫২ বছর বয়সের মধ্যে ২,৯৬৪ জন নারীর ঘুমের অভ্যাস এবং স্বাস্থ্যের ফলাফল মূল্যায়ন করেন। প্রিমেনোপসাল ও পেরিমেনোপসাল দুই ধরনের মহিলাদেরই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গবেষণায় দেখা যায় যে প্রতি চারজন মহিলার মধ্যে একজন অনিয়মিত ঘুম, অনিদ্রা, রাত জাগার মতো সমস্যায় ভোগেন। প্রায় ৭ শতাংশ নারীর ঘুমের সমস্যার কথা উঠে এসেছে এই পর্যবেক্ষণ থেকে। এ ছাড়াও দেখা গিয়েছে যে দীর্ঘদিন ধরে যাদের অনিদ্রার লক্ষণ বেশি ছিল তাদের পরবর্তী জীবনে সিভিডি হওয়ার ঝুঁকিও বেশি ছিল। এ ছাড়া যে সমস্ত নারীরা নিয়মিত রাতে পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কিছুটা বেশি থাকে। যারা ঘন ঘন ঘুম ভেঙে যাওযার সমস্যায় ভোগেন এবং রাতে পাঁচ ঘণ্টারও কম ঘুমান তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি ৭৫ শতাংশ বেশি।


     এই বিভাগের আরো খবর